আন্তর্জাতিক ডেস্ক: মি টু ক্যাম্পেনের সূত্রে ধরে বিশ্বজুড়ে সরব হয়েছেন নারী। কারণ যৌন নির্যাতন এখন আর লুকিয়ে যাওয়ার বিষয় নয়। বিশেষ করে এখন কর্মক্ষেত্রে যৌন হেনস্থার বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলেছেন অনেকেই।
তবে এবার এক বৈপ্লবিক পদক্ষেপ নিল অন্যতম বিখ্যাত জুতা প্রস্তুতকারী সংস্থা নাইকি। সংস্থার অন্দরেই চালানো হলো সমীক্ষা। আর তার জেরেই চাকরিচ্যুত হল ছয় কর্মী।
আমেরিকার এই অন্যতম জনপ্রিয় সংস্থার সদর দফতর বিভারটনে চালানো হয় এই সমীক্ষা। সেখানেই লাগাতার যৌন হেনস্থার ঘটনা ঘটছিল বলে অভিযোগ। একাধিক পুরুষ বস ও সহকর্মীদের হাতে নারী সহকর্মীদের নানাবিধ হেনস্থার ঘটনা ঘটছিল অবাধে। ঠিক সময়ে পদোন্নতি না হওয়া, গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক থেকে বাদ দিয়ে দেওয়ার মত ঘটনাও ঘটত। সংস্থার এইচআর বিভাগে অভিযোগ জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি। প্রমাণ না পাওয়ায় শাস্তি পেতেন না অভিযুক্তরা।
কখনও বস একা পেয়ে জোরজবরদস্তি চুমু খাওয়ার চেষ্টা চালিয়েছে, কখনও আবার নারী সহকর্মীকে বক্ষ নিয়ে মন্তব্য করা হচ্ছে ই-মেলে। এসব দিনের পর দিন হওয়া সত্বেও কোনও শাস্তি হচ্ছিল না।
সম্প্রতি সংস্থার কয়েকজন নারীকর্মী অফিসজুড়ে একটি সমীক্ষা চালান। নারী কর্মীদের বলা হয়, নিজেদের নাম বলার দরকার নেই, শুধু জানান, এই দফতরে একবারও যৌন হেনস্থা বা বৈষম্যের মুখোমুখি হয়েছেন কি না। অভিযুক্তের নামও জানাতে বলা হয়। সেই সমীক্ষার রিপোর্ট পাঠানো হয় নাইকি এর চিফ এগজিকিউটিভ অফিসার মার্ক পার্কারের কাছে।
সংস্থাপ্রধানের হাতে সেই সমীক্ষা পৌঁছানোর কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই ইস্তফার হিড়িক পড়ে যায়। ট্রেভর এওয়ার্ডস, ড্যানিয়েল তাউইয়া এবং জেম মার্টিন-সহ বিভারটন দফতরের ছ’জন উচ্চপদস্থ পুরুষ কর্মী সংস্থা ছেড়ে দেন।